নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযানে ১,৩০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেট্রো এলাকায় ২৭৪ জন ও রেঞ্জভুক্ত এলাকায় ১,০৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানের পটভূমি
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সরকার কঠোর অবস্থান নেয়। পরদিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণা করে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, "যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত 'শয়তান' শেষ না হবে, ততদিন এ অভিযান চলবে।"
প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি রোববার দুপুরে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সব সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আরও কঠোর পদক্ষেপ আসতে পারে।
এদিকে, রোববারই রাঙ্গামাটিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, "এই অভিযান আসলে বিরোধী দল দমনের একটি নতুন কৌশল।"
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনার মতো শহরগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের আটক করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফোরামের (BHRF) পরিচালক রাশেদুল হক বলেন, " সরকারের উচিত গ্রেফতারকৃতদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করা।"
সামনের দিনগুলোতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ আরও কঠোর হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা জরুরি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।