নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাত যত গভীর হয়, ততই প্রকট হয়ে ওঠে নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণা। দিনের আলোয় যে মুখগুলো হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়, রাতের নিস্তব্ধতায় তারাই হয়তো সবচেয়ে বেশি একাকীত্বের শিকার হন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর রাতের নীরবতা একদিকে যেমন প্রশান্তির, অন্যদিকে তা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত মানুষদের জন্য এক ধরনের মানসিক বোঝা হয়ে ওঠে। একাকীত্বের এই অনুভূতি ধীরে ধীরে বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং আত্মবিশ্বাসহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
বাড়ছে মানসিক চাপে ভোগার প্রবণতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সময়ে মানুষ সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকলেও মানসিকভাবে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। অনেকেই তাদের কষ্টের কথা শেয়ার করতে চান না, ফলে রাতের অন্ধকারে তারা একা হয়ে পড়েন।
একজন মনোবিজ্ঞানী জানান, “রাতের নীরবতা অনেকের জন্য প্রশান্তি বয়ে আনে, আবার অনেকের জন্য তা দুঃখের ভার আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা মানসিক চাপে ভুগছেন, তাদের জন্য গভীর রাত হয়ে ওঠে এক কঠিন সময়।”
সমাজ কি প্রস্তুত এই কষ্ট বোঝার জন্য?
সচেতনতা বাড়লেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে এখনও প্রচুর ভুল ধারণা ও উপেক্ষার মনোভাব রয়েছে। একাকীত্ব, অবসাদ কিংবা মানসিক চাপের বিষয়গুলো এখনও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় না।
প্রশ্ন হলো, আমরা কি কেবল দিনের আলোর হাসিমুখগুলোকেই বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিচ্ছি? নাকি রাতের গভীরে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
আপনার মতামত কী? আপনি কি কখনো গভীর রাতের এই নীরব যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছেন?