স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা:
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, "বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।" শুধু এবারের নির্বাচনই নয়, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত, একতরফা ও রিগড নির্বাচনগুলোতেও ভারত একই মনোভাব পোষণ করেছে। দেশটি কখনোই এসব নির্বাচনের সমালোচনা করেনি, বরং বরাবরই তা বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে পাশ কাটিয়ে গেছে।
কিন্তু যখন দেশের সংক্ষুব্ধ জনগণ ধানমন্ডি ৩২-এর ঐতিহাসিক ভবনে হামলা চালায়, তখন ভারত সরকার দ্রুত বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানায়। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের নির্বাচন যদি অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়, তাহলে ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনাও কি একইভাবে অভ্যন্তরীণ নয়? এই দ্বৈত অবস্থানের কারণ কী?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই অবস্থান দেখিয়ে দেয় যে, তাদের কাছে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নয়, বরং আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের রাজনৈতিক ধারাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এই ভূমিকাকে অনেকেই 'নির্বাচিত সমর্থন' বলে আখ্যা দিচ্ছেন, যা কেবল নির্দিষ্ট স্বার্থ রক্ষার জন্যই প্রদর্শিত হয়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেন, "যখন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তখন ভারতের চোখে তা অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা বা প্রতীকের ওপর আঘাত আসে, তখনই ভারতের উদ্বেগ বাড়ে।"
সাধারণ জনগণের একাংশ মনে করছেন, ভারত কেবলমাত্র তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাংলাদেশে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে ভারতের এই অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।
(এই প্রতিবেদনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ নজরুলের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া পোস্টের ভিত্তিতে তৈরি।)<img class="alignnone size-medium wp-image-1515" src="https://www.rangpurbanglarnews.online/wp-content/uploads/2025/02/Screenshot_20250210-004151-135x300.png" alt="ভারত কেন বাংলাদেশের নির্বাচনে নীরব, কিন্তু ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে সরব?
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, "বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।" শুধু এবারের নির্বাচনই নয়, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত, একতরফা ও রিগড নির্বাচনগুলোতেও ভারত একই মনোভাব পোষণ করেছে। দেশটি কখনোই এসব নির্বাচনের সমালোচনা করেনি, বরং বরাবরই তা বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে পাশ কাটিয়ে গেছে।
কিন্তু যখন দেশের সংক্ষুব্ধ জনগণ ধানমন্ডি ৩২-এর ঐতিহাসিক ভবনে হামলা চালায়, তখন ভারত সরকার দ্রুত বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানায়। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের নির্বাচন যদি অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়, তাহলে ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনাও কি একইভাবে অভ্যন্তরীণ নয়? এই দ্বৈত অবস্থানের কারণ কী?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই অবস্থান দেখিয়ে দেয় যে, তাদের কাছে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নয়, বরং আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের রাজনৈতিক ধারাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এই ভূমিকাকে অনেকেই 'নির্বাচিত সমর্থন' বলে আখ্যা দিচ্ছেন, যা কেবল নির্দিষ্ট স্বার্থ রক্ষার জন্যই প্রদর্শিত হয়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেন, "যখন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তখন ভারতের চোখে তা অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা বা প্রতীকের ওপর আঘাত আসে, তখনই ভারতের উদ্বেগ বাড়ে।"
সাধারণ জনগণের একাংশ মনে করছেন, ভারত কেবলমাত্র তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাংলাদেশে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে ভারতের এই অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।
(এই প্রতিবেদনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ নজরুলের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া পোস্টের ভিত্তিতে তৈরি।)
" width="135" height="300" />