রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক :
রংপুরের পীরগঞ্জে এক নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা ও তার পাঁচ বছরের কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম (৩০)। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার করতোয়া নদীর টোংরারদহ এলাকা থেকে তার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়। পরে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামে মাটি খুঁড়ে তার শিশুকন্যা সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামের এক মরিচক্ষেত থেকে মাথাহীন এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, নিহত দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে, তবে পরে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে।
পুলিশ জানায়, দেলোয়ারার সঙ্গে পীরগঞ্জের আতিকুল ইসলামের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গান-বাজনা করতেন।
শনিবার বিকেলে পুলিশ আতিকুলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করতোয়া নদীর পাশে মাটি খুঁড়ে দেলোয়ারার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর তার সাবেক স্বামী জানান, দেলোয়ারার সঙ্গে তার মেয়ে সায়মাও ছিল।
পরে আতিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে যে দেড় মাস আগে শিশুটিকেও হত্যা করে লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পাশের গাছবাগানে তিন-চার ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। রোববার সকালে পুলিশ মাটি খুঁড়ে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম জানান, দেলোয়ারা বেগমের সাবেক স্বামীর তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে শিশুটিও নিখোঁজ। এরপর অভিযুক্ত আতিকুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, শনিবার আতিকুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা, একটি ব্যাগ ও একটি বক্স উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
ছবি: ঢাকা পোস্ট