নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিজিটাল যুগে মানুষের সংবাদ পাঠের ধরন বদলে গেছে। এখন অধিকাংশ পাঠক অনলাইন মাধ্যমে খবর পড়েন। অথচ, কিছু প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক এখনো অনলাইন সাংবাদিকদের হেয়প্রতিপন্ন করেন। কিন্তু বাস্তবতা কী বলছে?
বিশ্বজুড়ে সংবাদপাঠের প্রবণতা বদলাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এখন অধিকাংশ মানুষ খবর পড়েন অনলাইনেই। ফলে, অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুত্ব যেমন বেড়েছে, তেমনি এর প্রতি কিছু প্রিন্ট সাংবাদিকের নেতিবাচক মনোভাবও দেখা যাচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইনেই সংবাদ পড়েন।২০২৩ সালে এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭০% মানুষ নিয়মিত অনলাইনে খবর পড়েন।তরুণ প্রজন্মের ৮৫% সংবাদ গ্রহণ করেন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে।অধিকাংশ সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে পাঠকের সংখ্যা ছাপা সংস্করণের চেয়ে অনেক বেশি।
কিছু প্রিন্ট সাংবাদিক মনে করেন, অনলাইন সাংবাদিকরা ‘সঠিক সাংবাদিকতা’ করেন না। তারা অভিযোগ করেন, অনলাইনে সংবাদ দ্রুত প্রকাশের প্রতিযোগিতা চলে, ফলে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য বেশি থাকে।কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনকার পাঠকরা খবরের জন্য আর পরের দিনের ছাপা পত্রিকার অপেক্ষা করেন না। তারা মুহূর্তেই অনলাইনে সংবাদ পেয়ে যান। তাই সংবাদমাধ্যমগুলোকেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে।
প্রিন্ট বনাম অনলাইন: আসলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, সমন্বয় দরকার অনলাইন ও প্রিন্ট সাংবাদিকতা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং দুটি মাধ্যমেরই নিজস্ব গুরুত্ব আছে।অনলাইন সাংবাদিকতা দ্রুত তথ্য পৌঁছে দিতে পারে।প্রিন্ট সাংবাদিকতা বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দেয়।পাঠকের চাহিদা বদলেছে, তাই সাংবাদিকদেরও মানিয়ে নিতে হবে।
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সংবাদপাঠ ও সাংবাদিকতার ধরন বদলাবে, এটি স্বাভাবিক। অনলাইন সাংবাদিকতাকে হেয়প্রতিপন্ন না করে, বরং এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করাই হবে বাস্তবসম্মত ও পেশাদার সিদ্ধান্ত। কারণ, ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি ডিজিটালের দিকে যাচ্ছে, আর মানুষ যেটি বেশি পড়ছে, সেটিই আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।