ওয়াশিংটন, ডিসি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একবার নয়, বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিতর্কিত অবস্থানে পড়েছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে মোদিকে বাংলাদেশ ইস্যুতে চরম হেয় করেছেন এবং রীতিমতো ব্যঙ্গ করেছেন।
“গেম ওভার মোদি জি!”
হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠতেই ট্রাম্প বললেন, “বাংলাদেশের বিষয়টি আমি মোদির ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি। উনি জানেন কীভাবে সামলাতে হয়!” ট্রাম্পের কণ্ঠে যে পরিমাণ তাচ্ছিল্য ছিল, তা উপস্থিত সাংবাদিকদের চোখ এড়ায়নি। অনেকে বিষয়টিকে মোদির প্রতি সরাসরি ব্যঙ্গ হিসেবেও দেখছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প আসলে মোদিকে পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে তাদের ক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতা কতটা প্রশ্নবিদ্ধ।
“মোদি হ্যান্ডেল করতে পারবেন তো?”
বৈঠকের এক পর্যায়ে এক মার্কিন সাংবাদিক বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প মুচকি হেসে বললেন, “আমি মোদির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। উনি জানেন কী করতে হয়!”মোদি এ সময় চুপ করে ছিলেন, তবে তার মুখের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল—তিনি এই প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না! বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবেই মোদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিব্রত করেছেন।
“বাংলাদেশের উন্নতি ভারতের মাথাব্যথা!”
অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা ভারতের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। অথচ মোদি সরকার চায়, প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের ছায়াতলে থাকুক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ আজ স্বাধীনভাবে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ভারতের গাত্রদাহ সৃষ্টি করছে।
ট্রলের শিকার মোদি!
মার্কিন মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে মিম ও ট্রল ছড়িয়ে পড়েছে। #ModiEmbarrassed এবং #TrumpMocksModi হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ঝড়!একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন—”ট্রাম্প জানেন, মোদি শুধু কথার ফুলঝুরি ছুটান, কাজের বেলায় শূন্য!”আরেকজন লিখেছেন—
“মোদি এখন কী করবেন? ট্রাম্প তো সামনে বসিয়েই বেইজ্জত করে দিলেন!”
মোদি সরকারের নীরবতা
ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ মহলে ব্যাপক অস্বস্তি চলছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদিকে নিয়ে ট্রাম্পের তাচ্ছিল্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারত যতই বড় দেশ হোক, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামনে শিশু সদৃশ। মোদির জন্য এটা শুধু বিব্রতকর নয়, পুরো ভারতীয় কূটনীতির জন্যও এক বড় ধাক্কা!