নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে যৌথ সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রে বাংলাদেশ প্রশাসনিক পরিষেবা সংস্থা আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: উন্নয়নের অংশীদারিত্ব
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও চীন কেবল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অংশীদার নয়, বরং আমরা উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ এবং অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
“বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে উভয় দেশের জন্য লাভজনক অবস্থানে নেওয়া,”—বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রশাসনিক দক্ষতা ও সংস্কার প্রসঙ্গ
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়াতে চীনের বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “চীন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যে ধরনের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এনেছে, তা আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। দক্ষ প্রশাসন ছাড়া কোনো দেশ সামনে এগোতে পারে না।”
তিনি আরও জানান, সরকার প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল উদ্ভাবন ও সহজতর নীতিমালা আনতে কাজ করছে, যাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ-চীনের ভবিষ্যৎ সহযোগিতা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনও জোরদার হচ্ছে। আগামী দিনে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে যৌথ প্রকল্প ও প্রযুক্তিগত বিনিময় বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, বাংলাদেশ-চীন অংশীদারিত্ব কেবল বর্তমানের নয়, বরং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।