রিয়াদুন্নবী রিয়াদ নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি দাবি করেছেন, গঙ্গাচড়ার পূর্ব খলেয়া মৌজায় তাঁর ৪ একর ৫৯ শতাংশ জমি আছে, যা তাঁর ভাই আতিকুল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলাম গং জাল রিটের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছেন। তিনি আদালতে মামলা করলে সিআইডির তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হয়, তবুও রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে সেখানে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।আজহারুল ইসলাম জানান, তিনি জমি উদ্ধারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কাছে সহায়তা চান। তবে প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁদের অর্থের প্রলোভন দেখানো হয়, যা তাঁরা অগ্রাহ্য করেন। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।গতকাল শনিবার সকালে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের সঙ্গে এক ব্যক্তির টাকা নিয়ে দর-কষাকষির দৃশ্য শোনা যায়। এ ঘটনায় সংগঠন থেকে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে নাহিদ হাসান দাবি করেছেন, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।এদিকে, ইকোপার্কের পরিচালক বেলাল হোসেন দাবি করেছেন, নাহিদ এক লাখ টাকা চেয়েছিলেন এবং প্রশাসনের ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি জানান, ভিডিওটি তাঁরাই ধারণ করে পুলিশ সুপারকে দিয়েছেন, তবে ফেসবুকে ছড়াননি।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখ্য সংগঠক আলী মিলনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, নাহিদের বিরুদ্ধে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তবে সংগঠন দাবি করেছে, তারা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না।এ ঘটনায় রংপুরের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।