গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বড়বিল মন্থানা হাটে হাটবার নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার মন্থানা হাটে শুক্রবার ও সোমবার নিয়মিত হাট বসলেও পার্শ্ববর্তী বড়াইবাড়ী হাটে পূর্বনির্ধারিত শনিবার ও মঙ্গলবার ছাড়াও অতিরিক্তভাবে শুক্রবার হাট বসানোয় মন্থানা হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গত ১৫ মে রাতে মন্থানা হাট ইজারাদার, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সচেতন মহল এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। সভায় বক্তারা বলেন, বড়াইবাড়ী হাট ইজারাদার মোফাকখেরুল ইসলাম স্বপন হাট-বাজার নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত দিনে হাট পরিচালনা করছেন, যা মন্থানা হাটের ব্যবসায়িক পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়বিল মন্থানা হাট মালিক সমিতির সভাপতি মারুফ মিয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন লিখন মিয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইজারাদার রুবেল মিয়া, ধর্মীয় সম্পাদক শোয়াইবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আলী ঈমাম সরকার লিমু, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি অধ্যাপক তাজউদ্দিন, মুস্তাকিম হোসেন, আলমগীর হোসেন, হাফেজ নূর উদ্দিন ও সাদেকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, সরকার মন্থানা হাট থেকে বড়াইবাড়ীর চেয়ে বেশি রাজস্ব পেলেও এখন হাটবারে দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মন্থানা হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমাজ। একই দিনে দুই হাট বসায় পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় মন্থানা হাটে বেচাকেনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে বড়াইবাড়ী হাট ইজারাদার মোফাকখেরুল ইসলাম স্বপন বলেন, “৩৬৫ দিনই হাট হতে পারে। আমি যে দিন খুশি হাট বসাতে পারি, এতে দোষের কিছু নেই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমি উভয় ইজারাদারকে নিয়ে একাধিকবার আলোচনায় বসেছি। তাদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি। যদি সমাধান না হয়, তবে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।