রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চর মর্ণেয়া এলাকার ভাঙ্গাগড়া হাটসংলগ্ন এক মুদি দোকানে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। দোকান মালিক অনুপস্থিত থাকার সুযোগে তার স্ত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও দোকান লুটের অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মৃত সেকেন্দার আলী, সাং- চর মর্ণেয়া, ভাঙ্গাগড়া, গঙ্গাচড়া, রংপুর; এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি নিজ মালিকানাধীন জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস ও মুদি দোকান পরিচালনা করছেন। তার দাবি, উক্ত জমি হাটের আওতার বাইরে হওয়ায় তিনি কখনোই টোল প্রদান করেননি।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর মোঃ রাশেদুল ইসলাম শুভ (৩৭), পিতা- মৃত মনছুর আলী, হাটের ইজারা গ্রহণ করার পর থেকে জোরপূর্বক টোল আদায়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ১৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দোকান মালিক হারাগাছ বাজারে অবস্থানকালে, ১নং আসামী শুভ, ২নং আসামী মোঃ মানিক মিয়া (২৬), পিতা- বাদশা মিয়া, ৩নং আসামী মোঃ রাশেদুল মিয়া (৩২), পিতা- মৃত ওসমান ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন দোকানে গিয়ে তার স্ত্রী মোছাঃ ফারজানা বেগমের (২৮) ওপর হামলা চালায়।
আসামিরা প্রথমে টোল দাবি করে, তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে টানাহেঁচড়া করে দোকান থেকে বাইরে এনে মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও জখম হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২নং আসামী মানিক মিয়া তার স্ত্রীর পড়নের কাপড় টেনে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং ৩নং আসামী দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ সময় অন্য এক-দুইজন আসামী ক্যাশবাক্স থেকে ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা লুটে নেয়।
স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয় মোঃ আসাদুল ইসলাম, মোঃ সাদ্দাম মিয়া, মোছাঃ পারভীন বেগমসহ কয়েকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগী দাবি করেন, ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা দোকানে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।