গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের মীরপাড়া গ্রামে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দাদি মোছাঃ মিনু বেগম (৬০) থানায় এসে এজাহার দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার মাসুদ মিয়া (৪৭), যিনি পেশায় একজন কৃষক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিন ধরে তার দাদি তাকে লালন-পালন করে আসছে। অভিযুক্ত মাসুদ বিগত কয়েক মাস ধরেই নানা কু-প্রস্তাব ও ভয়ভীতির মাধ্যমে মেয়েটির সর্বস্ব হরণের চেষ্টা করে আসছে। গত ১৬ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে মিনু বেগম বাড়ির বাইরে ঔষধ আনতে গেলে বাড়ি ফাঁকা পাওয়ায় অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ।
মিনু বেগম বলেন, আমি বাড়ি ফিরেই দেখি মাসুদ দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, আর আমার নাতনি বিবস্ত্র ও মুমূর্ষু অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। আমাকে দেখেই সে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। তখন আমি বুঝতে পারি, মাসুদ আমার বাক প্রতিবন্ধী নাতনীর সর্বনাশ করেছে।
প্রতিবেশী মালেকা বেগম বলেন, মিনু বেগমের চিৎকার শুনে দৌঁড়ে এসে দেখি তার নাতনীর নাতনির পরনে কাপড় নাই, মেঝেতে পরে আছে। ধর্ষক মাসুদ দৌঁড়ে পালাচ্ছে।
অপর প্রতিবেশী ফেন্সি বলেন, যে মেয়েটা কথা বলতে পারে না, সেই মেয়েটির সাথে ধর্ষণের মতো অমানবিক ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। ধর্ষক মাসুদের ফাঁসি হওয়া দরকার।
স্থানীয় নারীরা ঘটনার পরপরই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে তারা এলাকার গণ্যমান্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।